Summary
একটি আহিত বস্তুর চারদিকে যে প্রভাব বিদ্যমান, সেটিকে ঐ আহিত বস্তুর তড়িৎ ক্ষেত্র বলা হয়। এই তড়িৎ ক্ষেত্র অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত হয় এবং এতে অন্য আহিত বস্তু আনা হলে সেটি তড়িৎ বল লাভ করে।
যদি ক্ষেত্র সৃষ্টিকারী আধানটি ধনাত্মক হয়, তবে একই ধর্মের (ধনাত্মক) আধান বিকর্ষণ এবং বিপরীত ধর্মের (ঋণাত্মক) আধান আকর্ষণ বল লাভ করবে। বিপরীত ধর্মের ক্ষেত্র সৃষ্টিকারী আধানও একই নিয়ম পালন করে।
দুটি আধানের মধ্যে আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান নির্ভর করে:
- আধান দুটির পরিমাণের উপর
- আধান দুটির মধ্যবর্তী দূরত্বের উপর
- আধানগুলো যে মাধ্যমে আছে, তার প্রকৃতির উপর
করে। আহিত বস্তুর আশেপাশে যে অঞ্চল জুড়ে এই প্রভাব বিদ্যমান থাকে সেই অঞ্চলই এই আহিত বস্তুর তড়িৎ ক্ষেত্র।
একটি আহিত বস্তুর চারদিকে যে অঞ্চলব্যাপী তার প্রভাব বজায় থাকে অর্থাৎ অন্য কোনো আহিত বস্তু আনা হলে সেটি আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বল লাভ করে সেই অঞ্চলকে ঐ আহিত বস্তুর তড়িৎ বলক্ষেত্র বা তড়িৎক্ষেত্র বলে।
তাত্ত্বিকভাবে একটি আহিত বস্তুর তড়িৎক্ষের অসীম পর্যন্ত বিস্তৃত।
তড়িৎ বল
একটি আহিত স্থির বস্তুর তড়িৎ ক্ষেত্রের মধ্যে অন্য একটি আহিত বস্তু আনলে সেটি একটি বল লাভ করে। এই বলকে বলা হয় তড়িৎ বল। ধরা যাক, ক্ষেত্র সৃষ্টিকারী আধানটি একটি ধনাত্মক আধান। এখন যদি তার তড়িৎক্ষেত্রের মধ্যে আরেকটি ধনাত্মক আধান আনা হয়, তাহলে সেটি একটি বিকর্ষণ বল লাভ করবে, আর আনীত আধানটি যদি ঋণাত্মক হয় তাহলে সেটি আকর্ষণ বল লাভ করবে। বিপরীতক্রমে ক্ষেত্র সৃষ্টিকারী আধানটি যদি ঋণাত্মক হয়, তাহলে তার তড়িৎ ক্ষেত্রের মধ্যে একটি ধনাত্মক আধান আকর্ষণ বল এবং একটি ঋণাত্মক আধান বিকর্ষণ বল লাভ করে। দুই ধরনের আধানের এই বল সম্পর্কে নিম্নোক্ত নিয়মটি খাটে,
“সমধর্মী আধান পরস্পরকে বিকর্ষণ করে এবং বিপরীতধর্মী আধান পরস্পরকে আকর্ষণ করে।
দুটি আধানের মধ্যবর্তী এ আকর্ষণ বা বিকর্ষণ বলের মান নির্ভর করে,